কয়রায় মৎস্যঘের দখল ও লুটপাটের অভিযোগ
খুলনার কয়রা উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর মৎস্যঘেরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার এ অভিযোগ করে।
সংবাদ সম্মেলনে বানিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা চন্দন রায় লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাঁদের পরিবার অন্তত চার পুরুষ ধরে সুন্দরবনসংলগ্ন ওই গ্রামে বসবাস করছে। গ্রামের ১০০ বিঘা জমিতে তাঁদের একটি মৎস্যঘের রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ বিঘা জমি তাঁদের নিজস্ব এবং বাকিটা লিজ ও ডিসিআরের ভিত্তিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
চন্দন রায়ের দাবি, গত বছরের ১৯ নভেম্বর স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থক আফজাল শিকারি, বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত গফুর গাজী, রতন সরদারসহ ১০ থেকে ১৫ জন জোরপূর্বক তাঁদের ঘেরে প্রবেশ করে জাল ফেলে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মাছ লুট করেন। এর পর থেকে তাঁরা ঘেরে আর ঢুকতে পারছেন না। ঘেরে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ ছিল।
চন্দন রায় বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের হুমকি ও দাপটে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রতিবাদ করায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বজনদের মারধর করা হয়। ভয় এবং নিরাপত্তার অভাবে এত দিন চুপ ছিলাম। এখন আর সহ্য করতে পারছি না।’
লিখিত বক্তব্যে চন্দন রায় উল্লেখ করেন, ‘আমরা দ্বন্দ্ব–সংঘাত চাই না। এ কারণে ঘের দখলের বিষয় নিয়ে আমরা বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এরপর সেখানে দুপক্ষের উপস্থিতিতে কাগজপত্রে আমাদের মালিকানা প্রমাণিত হওয়ায় গফুর গাজীদের ঘেরে অনধিকার প্রবেশ ও লুটপাট বন্ধ করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। কিন্তু জানি না, কোন অদৃশ্য শক্তির বলে তাঁরা এখনো আমাদের মৎস্যঘের জবরদখল ও লুটপাট অব্যাহত রেখেছেন।’
চন্দন রায় দখলদারদের কবল থেকে মৎস্যঘের ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।