টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মাথায় গুলি করে একজনকে হত্যা

হত্যাপ্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মাথায় গুলি করে এক রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী কামাল গ্রুপের এক সদস্য। নিহতের নাম মোহাম্মদ আলম (৪০)। আজ শনিবার সকাল আটটার দিকে হ্নীলার নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ডি-ব্লকের বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও রোহিঙ্গারা জানায়, আজ সকালে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড আশ্রয়শিবিরের ডি-ব্লকের বটতলী এলাকায় কামাল গ্রুপের সদস্য ডাকাত শফি এবং ই-ব্লকে বসবাসরত রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ আলমের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ডাকাত শফি উত্তেজিত হয়ে মোহাম্মদ আলমের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় আলমকে উদ্ধার করে পাশের এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি ও অধিনায়কের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ওই আশ্রয়শিবিরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের পশ্চিম পাশে বিশাল পাহাড় আছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সন্ত্রাসী দলের আস্তানা। প্রতিনিয়ত লোকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। মোহাম্মদ আলমের সঙ্গে ডাকাত শফির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। কথা-কাটাকাটির জের ধরে প্রকাশ্যে এভাবে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আশ্রয়শিবিরের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।