আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ দলটির সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকেছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগ সরকার আমলের সব অন্যায়, জুলাই গণহত্যার বিচার, দলটিসহ সব সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। পরে ২০ মিনিট পর ১টা ২০ এর দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

অবরোধের সময় আরিচাগামী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে জরুরি পরিষেবার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয় বলে জানিয়েছেন অবরোধকারীরা। অবরোধ চলাকালে একটি সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়। এতে সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে স্বৈরাচার আমাদের ওপর চেপে বসেছিল, শত শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে তাদের আমরা হটিয়েছি। কিন্তু স্বৈরাচারের দোসরেরা এখনো কীভাবে ক্ষমতায় বসে থাকে? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি করছে—আমরা জানি না। শত শত রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি স্বৈরাচারের দোসরেরা সেই অর্জনকে বৃথা করার চেষ্টা করছে। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আপনারা এসি রুমে বসে বসে হাওয়া খাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কোনো নিচ্ছেন না—সেই জবাব আপনাদের দিতে হবে। তাদের প্রশ্রয়দাতাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’

কর্মসূচির কারণে মহাসড়কটিতে যানজটের সৃষ্টি হয়
ছবি: প্রথম আলো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের মা–বাবার চোখের পানি এখনো শুকায়নি জানিয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের ৪৮তম ব্যাচের আবাসিক শিক্ষার্থী জোবায়ের শাবাব বলেন, ‘গতকালও কিশোরগঞ্জে আমাদের সহযোদ্ধার ওপর ফ্যাসিস্টের সহযোগীরা হামলা করেছে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই গণহত্যায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’