বগুড়ায় সাবেক দুই সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের ৮২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল হামলার ঘটনায় সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ (এমপি) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৮২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক রহিমা খাতুন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় আসামি হিসেবে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাবেক এমপি মজিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সাবেক এমপি রাগেবুল আহসানের নাম রয়েছে।
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, এ কে এম আসাদুর রহমান, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান ও বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুভাশীষ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলামসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালান। এ সময় কার্যালয়ের তালা ভেঙে চেয়ার-টেবিল, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল বাসেত বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভিটা ও বিএনপির দুর্গ বগুড়ায় যাঁরা এত দিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে, ছাত্র আন্দোলন দমাতে যাঁরা হামলা, মামলা ও খুন-হত্যায় ইন্ধন দিয়েছে, তাঁদের আইনের আওতায় আনতে ৮২ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আরও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে আজ একটি মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের ৮২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০-২০০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।