চিলমারী নদীবন্দরে জ্বালানি তেলের অপেক্ষায় পণ্যবাহী ভারতীয় তিনটি জাহাজ

পণ্যবাহী তিনটি ভারতীয় জাহাজ চিলমারী নদীবন্দরে নোঙর করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে চিলমারী নদীবন্দর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দরে কলকাতা থেকে আসা পণ্যবাহী তিনটি ভারতীয় জাহাজ বন্দর কাস্টম ক্লিয়ারেন্স নিয়ে জ্বালানি তেলের জন্য অপেক্ষা করছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জাহাজ তিনটি চিলমারী নদীবন্দরে নোঙর করে। জাহাজ তিনটি কলকাতা থেকে ওয়েল রিফাইনার মেশিন বহন করে আসামে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

চিলমারী নদীবন্দর সূত্রে জানা যায়, জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ঠিক থাকে। তাই এ সময়ে কলতাকা থেকে বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ চিলমারী নদীবন্দর ব্যবহার করে ধুবড়ী বন্দরে যায়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ তিনটি বন্দরে পৌঁছায়। পরে কাস্টম ক্লিয়ারেন্স নিয়ে জ্বালানি তেলের জন্য অপেক্ষা করছে। জাহাজ তিনটি ব্রহ্মপুত্র নদ হয়ে ভারতের আসামের ধুবড়ী বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিদেশি পর্যটকবাহী প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস চিলমারী নদীবন্দরে দুই দিন নোঙর করে ছিল।

চিলমারী নদীবন্দরের প্রধান পাইলট মো. মাহবুব মিয়া বলেন, ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ তিনটির কাস্টম ক্লিয়ারেন্স হয়েছে। জ্বালানি তেলের অপেক্ষায় জাহাজ তিনটি বন্দরে অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশে তাদের এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে আজ বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেল নিতে পারলে আগামীকাল শুক্রবার ভোরে ভারতের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক এস এ মাহফুজ উল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল চিলমারী নদীবন্দর থেকে জাহাজ তিনটি ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ী বন্দরে যাবে। তিনি আরও বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা–সংকট থাকায় সারা বছর এই পথ দিয়ে জাহাজ চলাচল করে কম। তবে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বেশি থাকায় ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ চিলমারী নদীবন্দর ব্যবহার করে।