পাবনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির ৫ দিন পর মামলা, সাবেক নেতা আসামি

পাবনা জেলার মানচিত্র

পাবনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আটজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় পাঁচ দিন পর মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত ওরফে সিফাতকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আরও পড়ুন

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপাসিন্ধু বালা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাতে এজাহারটি পাওয়ার পর মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার আসামিরা সবাই আত্মগোপনে আছেন। তবে অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরতে অভিযান চলছে। শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।

মামলার বিষয়ে কথা বলতে প্রধান আসামি ইফতে আরাফাতের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন

মামলার বাদী মেহেদী হাসান বলেন, ‘সেদিন রাতে আমি পার্টি অফিসে যাওয়ার সময় সিফাত তার লোকজন নিয়ে আমাদের মোটরসাইকেলের বহরের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে আমার পক্ষের লোকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি। সিফাতের এত অস্ত্র আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উৎস কোথায়, আশা করছি পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।’

সম্প্রতি জেলা শহরে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত ওরফে সিফাতপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের মাসুম বাজারের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আটজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনায় দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করেছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল। এখন মামলা হয়েছে। আইনগতভাবে যেটা হবে, আমরা সেটাই চাই। আমরা কারও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে চাই না।’