বড় প্রকল্পগুলো জনগণের কোনো কাজে আসছে না: জোনায়েদ সাকি

রংপুরে একটি সম্মেলনে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শনিবার বিকেলে শহরের সেন্ট্রাল রোড ঈদগাহ মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এ সরকারের কোনো জবাবদিহি নেই। উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্প হলেও তা জনগণের কোনো কাজে আসছে না। বরং দুনীতি বাড়ছে।

আজ শনিবার বিকেলে রংপুর শহরের সেন্ট্রাল রোড ঈদগাহ মাঠে ‘বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি’র প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার কতিপয় গোষ্ঠীর ওপর টিকে আছে অভিযোগ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের মদদে দেশের বাইরে টাকা পাচার করছেন একশ্রেণির লোপাটকারী। তাঁদের লুটপাটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার। লোপাটকারীরাও নানা ফন্দি এঁটে সরকারকে টিকিয়ে রাখছে।  

দেশের বিদ্যুৎ খাত একটি গোষ্ঠীর পক্ষে কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে দাবি করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী। তিনি বলেন, জনগণের কষ্টের কথা চিন্তা না করে, কয়েক দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। মাসে মাসে দাম বাড়বে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের নামে দুর্নীতি হচ্ছে। আর এটা করতে গিয়ে শুধুই কষ্ট বাড়ছে জনগণের। অথচ এই দায় সরকার না নিয়ে বরং জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিলেও তা কোনো কাজে আসছে না মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘যাঁরা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের হাতে কিছু নাই। তাঁরা উৎপাদন পণ্যের ভালো দাম পাচ্ছেন না। ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রয়কেন্দ্র খোলা হলে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারলে এ রকম ক্ষতির মুখে পড়তেন না কৃষকেরা। লুটেরাদের হাতে ক্ষমতা, যাঁরা শুধু লুটপাটে ব্যস্ত। ফলে কৃষকেরা উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন, নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। জনগণের টাকায় চলা সরকার কৃষকের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।’

কৃষি মূল্য কমিশন গঠন, কৃষিপণ্যের লাভজনক দামসহ ১৭ দফা দাবিতে ‘বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি’র এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও দীপক রায়, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিটের নেতারা। এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা নাজার আহমেদ।