টেকনাফে আশ্রয় নিলেন বিজিপির আরও পাঁচ সদস্য

গত ফেব্রুফারি মাসে আরাকান আর্মির হামলার মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) কয়েকজন সদস্যফাইল ছবি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থেকে নাফ নদী অতিক্রম করে কক্সবাজারের টেকনাফে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও পাঁচজন সদস্য। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বিজিপি সদস্যরা নাফ নদী অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরে যান, সেখান থেকে টেকনাফের সাবরাং উপকূলে পৌঁছালে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যরা তাঁদের আটক করেন। এ সময় বিজিপি সদস্যরা আত্মসমর্পণের কথা তুলে ধরে আশ্রয় চান। বিজিবি সদস্যরা তাঁদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়ে যান।

বিজিপির পাঁচ সদস্য আশ্রয় নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সবাইকে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সবার (বিজিপি) নাম-ঠিকানাসহ পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।

এ প্রসঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও টেকনাফ–২ বিজিবি অধিনায়কের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের একজন ইউপি সদস্য জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে বিজিপির পাঁচজন সদস্য একটি নৌকা নিয়ে সাবরাং ইউনিয়নের খুরের মুখ এলাকায় আসেন। সদস্যদের হাতে ছিল ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পরনে ছিল উর্দি-প্যান্ট। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নৌকাসহ বিজিপি সদস্যদের ঘিরে ফেলেন। এ সময় বিজিপি সদস্যরা হাত তুলে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা এবং আশ্রয়ের কথা জানালে বিজিবি সদস্যরা সবাইকে নিরস্ত্র করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। বিকেলে পাঁচ বিজিপি সদস্যকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, গত শনিবার তিন দফায় নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফে আশ্রয় নেন বিজিপির ৪০ জন সদস্য। পরের দিন রোববার আশ্রয় নেন বিজিপির আরও ৮৮ জন। সব মিলিয়ে ১২৮ জনকে হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে রাখা হয়। গত রোববার থেকে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।