পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ইজিবাইক উল্টে সাবিরুল ইসলাম ওরফে সাগর (১৬) নামের এক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ মাটিয়ার পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাবিরুল ইসলাম উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ি-কালীচরণ এলাকার মুজিবুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পামুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনি ভূষণ রায় প্রথম আলোকে বলেন, ইউনিয়নের কালুরহাট কে সি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল সাবিরুল ইসলাম। তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল পার্শ্ববর্তী দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ এম পি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। আজ সকালে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাঙ্গীরহাট এলাকার নানাবাড়ি থেকে বের হয় সাবিরুল। পরে বন্ধুদের সঙ্গে একটি ইজিবাইকে কালীগঞ্জ এম পি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিল সে।
ইজিবাইকটি কালীগঞ্জ মাটিয়ার পাড়া এলাকায় পৌঁছালে সড়কে বেঁধে রাখা একটি ছাগলকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় চালকের বাঁ পাশে বসে থাকা সাবিরুল সড়কে ছিটকে পড়ে এবং ইজিবাইকটি তার ওপরে গিয়ে পড়ে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয় সাবিরুল। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। দুর্ঘটনার সময় ইজিবাইকের চালকসহ সাবিরুলের সহপাঠীরা সামান্য আহত হলেও পরে তারা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
নিহত সাবিরুলের সহপাঠী আল আমিন ইসলাম বলে, ‘ইজিবাইকটিতে আমরা ৯ জন পরীক্ষার্থী ছিলাম। এর মধ্যে তিনজন মেয়ে ছিল। ইজিবাইকে সাবিরুল চালকের বাঁ পাশে বসেছিল। এ সময় সড়কে থাকা একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে ইজিবাইকটি সড়কের ওপর বাঁ দিকেই উল্টে যায়। এতে সড়কের ওপর পড়ে সাবিরুল মাথায় আঘাত পায়। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমাদের মধ্যে বাকিরা তেমন আহত হইনি। পরে আমরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি।’
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত সাবিরুলের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।