মায়ার কর্মীদের মারধরের মামলায় পত্রিকার সম্পাদকসহ আসামি ২৭

চাঁদপুর জেলার মানচিত্র

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কর্মীদের মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মতলব উত্তর থানায় হওয়া মামলায় একটি পত্রিকার সম্পাদকসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার সুগন্ধী এলাকায় পোস্টার লাগাতে গেলে নৌকার কর্মীদের মারধর করা হয় বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলার বাড়ীভাঙ্গা এলাকার মো. জহিরুল ইসলাম। গতকাল অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে পুলিশ। মামলায় মারধর, চুরি, প্রাণনাশের হুমকি ও বিস্ফোরক বিস্ফোরণের অভিযোগ করা হয়।

ঘটনার সময় ঢাকায় ছিলেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী আবু জাফর। তাঁকে মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় ওই সম্পাদক জড়িত না থাকলে তদন্ত শেষে তাঁর নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার সুগন্ধী এলাকায় নৌকার কর্মীরা পোস্টার লাগাতে গেলে আনিছুর রহমান নামের এক ব্যক্তির নির্দেশে সংঘবদ্ধ আসামিরা নৌকার কর্মীদের মারধর করেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একই সময় তাঁরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং নৌকার সমর্থকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ সময় নৌকার কর্মী উপজেলার মুদাফর এলাকার মো. রুবেল (৩৫) ও মো. শাকিল দেওয়ান (৩৬) আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, মারামারি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেলের অংশবিশেষের আলামত পেয়েছে। তবে পত্রিকার সম্পাদকের নামে মামলা হয়েছে কি না সে বিষয় জানেন না। কারণ, মামলায় আসামিদের নাম ও বাবার নাম ব্যবহার করা হয়। যেহেতু এখন বিষয়টি জানা গেছে, তদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকের নাম বাদ দেওয়া হবে।

কাজী আবু জাফর প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর হলেও তিনি ঢাকায় থাকেন। মায়ার নির্দেশে তাঁকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।