নেমে গেছে বন্যার পানি, সিলেটে বন্ধ বিদ্যালয়ে কাল থেকে পাঠদান শুরু

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। গত বৃহস্পতিবার সিলেটের জৈন্তাপুরের বাংলাবাজার এলাকায়ছবি: আনিস মাহমুদ

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বন্যাকবলিত পাঁচটি উপজেলায় ১৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়েছিল। এ ছাড়া ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে সব মিলিয়ে মোট ২৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে পাঠদান বন্ধ।

সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত এরশেদ প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সব কটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পানি নেমে গেছে। আজ বিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। কাল (সোমবার) থেকে পাঠদান চালুর সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া বন্যায় বিদ্যালয়গুলোতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা-ও নির্ধারণের চেষ্টা চলছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতিতে জেলার গোয়াইনঘাটে ৭১টি, কানাইঘাটে ৪৯টি, কোম্পানীগঞ্জে ১০টি, জকিগঞ্জে ২৩টি ও জৈন্তাপুরে ৩টিসহ মোট ১৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তলিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়নি। শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি। আজ রোববার এসব বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। কাল সোমবার থেকে পাঠদান চালু হবে।

একই সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৫৬টি বিদ্যালয় তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাঁচটি উপজেলায় আরও ৮৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছিল। এ জন্য এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ছিল। তবে যেসব বিদ্যালয়ে এখনো বন্যাকবলিত মানুষ আছেন, সেসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া মানুষ বাড়ি ফেরার পরই সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবার পাঠদান শুরু হবে।

এদিকে সিলেট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেটের কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হয়নি।

এর আগে গত ২৯ মে রাত থেকে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢল নামে। পাশাপাশি সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা। মূলত জেলার প্রধান দুটি নদী সুরমা, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি উপচে একের পর এক এলাকা প্লাবিত হয়। ডুবে গেছে ফসলের খেত, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। অসংখ্য বাসাবাড়িও প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে।

আরও পড়ুন