ফরিদপুরে এ কে আজাদের সমর্থকদের ওপর হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর

ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছেন নৌকার সমর্থকেরা। রোববার বিকেলে সদর উপজেলার গেরদা ইাউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডেছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুর–৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের (ঈগল প্রতীক) সমর্থকদের ওপর নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার গেরদা ইাউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঈগল প্রতীকের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর করা হয়।

হামলায় এ কে আজাদের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন গেরদা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ হোসেন ও শেখ খবির নামের এক কর্মী। তাঁদের মধ্যে খবিরকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে এসে এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে দুজনকে ডেকে নিয়ে লাঠিসোঁটা ও হকিস্টিক দিয়ে মারধর করে। পরে হামলাকারীরা নির্বাচনী ক্যাম্পটি ভাঙচুর করে। ঘটনার পর ঈগল প্রতীকের সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তাঁরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

গেরদা ইউনিয়নে এ কে আজাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব মো. রিয়াদ মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের অনুসারী গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ এমার হকের নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়। তাঁর সঙ্গে অংশ নেন তোফাজ্জল হোসেন ওরফে সম্রাট ও হাসিবুর রহমান ওরফে জেমি। তিনি বলেন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

হামলায় আহত ঈগল প্রতীকের এক কর্মী
ছবি: প্রথম আলো

অভিযোগের বিষয়ে গেরদা ইউপির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ এমার হক প্রথম আলোকে বলেন, ওই জায়গায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা এসে এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও মারধর করেছে। তিনি দাবি করেন, তিনি হামলার সঙ্গে জড়িত নন। শত্রুতা করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর গাফফার বলেন, গেরদায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।