লিবিয়ায় তিন তরুণকে নির্যাতনের অভিযোগে সুনামগঞ্জে মামলা, গ্রেপ্তার ৩

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার তিন তরুণকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর আজ শনিবার দুপুরে মানব  পাচার চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার ভাওয়ালীপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম (৫২), উরুরগাঁও গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৬২) ও বড়খাল গ্রামের রাজিয়া খাতুন (৪২)। এর আগে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলাটি করেন উপজেলার ছুনগাঁও গ্রামের মো. কোরবান আলী। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি আরও ৫–৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদুলাল ধর প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মানব পাচার চক্রের সদস্য। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছুনগাঁও গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে মাহমুদুল হাছান ওরফে সৌরভ (২২), ভিখারগাঁও গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে সুমন মিয়া (১৯) ও কুশিউড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে নোমান মিয়া (২২) বিভিন্ন সময় দুবাই হয়ে লিবিয়ায় যান। এ জন্য লিবিয়ায় থাকা দোয়ারাবাজার উপজেলার বড়খাল গ্রামের আবদুল বারেক ও তাঁর সহযোগীরা ওই তিন তরুণের পরিবারের কাছ থেকে চার লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়া থেকে তাঁদের ইতালি পাঠাতে আরও সাড়ে সাত লাখ টাকা করে দাবি করেন তাঁরা। পরে তিন তরুণের পরিবার সব মিলিয়ে তাঁদের সাড়ে ৩০ লাখ টাকা দেন। কিন্তু বারেক ওই তিন তরুণকে ইতালিতে না পাঠিয়ে অন্যদের হাতে তুলে দেন। এখন লিবিয়ায় তাঁদের আটকে রেখে টাকার জন্য নির্যাতন করা হচ্ছে। নির্যাতনের ছবি দেশে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে টাকা দাবি করা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ওই পরিবারগুলো থানায় মামলা করে।

মামলা দায়েরের পর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা তিনজনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এর মধ্যে রাজিয়া বেগম লিবিয়ায় থাকা আবদুল বারেকের স্ত্রী। মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলার বড়খাল গ্রামের আবদুল বারেক (৫৪), উরুরগাঁও গ্রামের মানিক মিয়া (৩০), রেজাউল করিম (৩৩) ও ডালিয়া গ্রামের আবদুল হামিদ (৩৫)।