প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের মামলার ১৯ বছর পর যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নাটোর জেলার মানচিত্র

নাটোরে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের ১৯ বছর পর এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এই দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মো. শাহানুর (৪০)। তিনি লালপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, ১৯ বছর আগে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় আজ দুপুর ১২টার দিকে। ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামি মো. শাহানুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (৩০ বছর) ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারক।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১২ জুলাই রাত ৯টায় লালপুরের তরুণ মো. শাহানুর ১২ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। শিশুটির চিৎকারে মা–বাবা ছুটে এলে সে ঘটনার কথা তাঁদের জানান। শিশুটির বাবা ২৬ জুলাই নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মো. শাহানুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে লালপুর থানাকে দায়িত্ব দেন। থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মমিনুল ইসলাম তদন্ত শেষে একই বছরের ২২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরই মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে আসে। কিন্তু সাক্ষীরা আদালতে আসতে গড়িমসি করেন। ১৯ বছরে মাত্র ৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আনিসুর রহমান দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেছেন, বাদী মামলাটি করার পর দীর্ঘদিন আদালতে হাজির হননি। অন্যান্য সাক্ষীদের সময়মতো আদালতে আনতে পারেননি, তবে চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি মো. শাহানুরকে দণ্ড দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক।