সরকার ভিন্ন কৌশলে ভোট নিয়ে আমাদের হারিয়ে দিয়েছে: কাদের সিদ্দিকী

সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত কর্মীসভায় কাদের সিদ্দিকী। রোববার দুপুরে সখীপুর সোনারতরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
ছবি: সংগৃহীত

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার ভিন্ন কৌশলে ভোট নিয়ে আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। ভোটে হেরেছি বলে আমরা তো আর মরে যাই নাই। বরং ভোটে হারার পর আমাদের ১৫ শতাংশ সমর্থন বৃদ্ধি পাইছে। আমরা আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিতে চাই।’

আজ রোববার দুপুরে সখীপুর সোনারতরী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মী-সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর সখীপুরে এই প্রথম আনুষ্ঠানিক কর্মী সমাবেশ করলেন তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে যাঁরা আমাদের সমর্থন করেছেন, তাঁদের ৫০ শতাংশও কেন্দ্রে ভোট দিতে যাননি। বিএনপির পাঁচ শতাংশও ভোট দিতে যাননি।’
কর্মী-সভায় উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুস সবুর খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা কমিটির সহসভাপতি ছানোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকেরা পোলিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনে তাঁদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বলে দাবি করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষকদের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে। চরিত্র ভালো হওয়া দরকার।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কাদের সিদ্দিকী প্রায় ২৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের (৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে জয়ী) কাছে হেরে যান।

নির্বাচনে হারলেও ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাদের সিদ্দিকী। মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভোটে যিনি এমপি হয়েছেন (অনুপম শাজাহান জয়) তিনি নিশ্চয়ই এমপি হিসেবে মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেয়েছিলেন। টিভিতে আপনারা কি তাঁকে দেখেছেন? তিনি কোথায় ছিলেন?’

জবাবে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা বলেন, ‘না, আমরা দেখি নাই। তবে আপনারে দেখেছি সামনের লাইনে।’ এ সময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ধীরে ধীরে আমরা একটা সম্মানের জায়গায় যাচ্ছি। আমি এমপি হলে তোমাদের কী এমন হতো। আর এমপি হই নাই তাতে কী, এমন হবে না। আমি এখন এমপি না। তারপরও লোকজন প্রতিদিন নানা সমস্যা নিয়ে আমার কাছেই আসে।’