‘অনুমতি ছাড়াই’ নাম দেওয়া হলো এনসিপির কমিটিতে, আছেন সরকারি চাকরিজীবীও
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৩১ সদস্যের সমন্বয় কমিটিতে একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও একজন সরকারি চাকরিজীবীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই আইনজীবীর দাবি, সম্মতি না নিয়েই তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উপজেলা এনসিপির কমিটি ঘোষণা করা হয় গত বৃহস্পতিবার রাতে। এতে স্বাক্ষর করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। কমিটিতে নাম থাকায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন সামিয়া সুলতানা নামের একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, তাঁর অনুমতি ছাড়াই কমিটিতে তাঁর নাম ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, যা তাঁকে চরমভাবে বিব্রত করেছে।
এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে ফেসবুক পোস্টে সামিয়া লিখেছেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই এবং এই কমিটিতেও আমার কোনো ভূমিকা নেই। কে বা কারা আমার নাম দিয়েছে জানি না। আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
কমিটিতে গুজাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুবায়ের আহম্মেদকে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সরকারি চাকরির বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। এ ছাড়া কমিটিতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা–কর্মীর নাম থাকারও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে নালিতাবাড়ী উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী জুবায়ের আহম্মেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
শেরপুর জেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য আরিফ সাফফারী বলেন, ‘বিষয়গুলো আমরা জেনেছি। এ নিয়ে আমাদের ফোরামে আলোচনা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’