হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়ে চাঁদাবাজি, তরুণ গ্রেপ্তার
হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন এক তরুণ। অভিযোগ পেয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য দেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। তিনি বলেন, এভাবে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করতে দেখা তাঁর চাকরিজীবনে প্রথম অভিজ্ঞতা।
গ্রেপ্তার তরুণের নাম আল শাহরিয়ার ওরফে অন্তর (২০)। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মির্জানগর গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শহরের জুগিয়া এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে মজমপুর এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌস আলমের। তাঁর ভাই মাহারুজ আহমেদ ওই প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন। গত শুক্রবার দুপুরে মাহারুজের হোয়াটসঅ্যাপে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি কল করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে অস্ত্রের ভিডিও ও বার্তা পাঠায়। খুদে বার্তায় হুমকি দেওয়া হয়, চাঁদা না দিলে শিশু ছেলেমেয়েরা স্কুলে গেলে তাদের হত্যা করা হবে। এরপর ভয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে তাঁরা কিছু টাকা নগদ অ্যাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে পাঠান এবং কিছুদিনের সময় চান।
পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, গতকাল সোমবার বিকেলে ঘটনাটি জানার পর তিনি দ্রুত পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে বলেন এবং ফেরদৌস আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। গতকাল রাতেই পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট, কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখা যৌথ অভিযান চালিয়ে আল শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, শাহরিয়ারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।