রাজশাহী-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করতে রেলমন্ত্রীকে ডিও লেটার দিলেন মেয়র লিটন

কলকাতা স্টেশনে দাঁড়িয়ে মৈত্রী-২ এক্সপ্রেস ট্রেন
প্রথম আলো ফাইল ছবি

রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় রেলভবনে এ বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালু করতে রেলমন্ত্রীকে আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

আজ বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ডিও লেটারে মেয়র লিটন উল্লেখ করেছেন, রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত ব্যবসা-বাণিজ্য, উচ্চতর শিক্ষা, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন; বিশেষ করে উন্নত চিকিৎসার প্রত্যাশায় ভারতে যায়। রাজশাহী থেকে সরাসরি ভারতে যাওয়ার কোনো পরিবহন না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি দীর্ঘদিনের। রেলযোগাযোগের সুযোগ থাকায় ঢাকা-কলকাতা ও খুলনা-কলকাতার মতো রাজশাহী থেকে কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল সহজতর হবে বলে তিনি মনে করেন।

মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহী ও ভারতের কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।

মেয়র লিটন আরও উল্লেখ করেছেন, রাজশাহী ও ভারতের কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। কারণ, যেকোনো ধরনের চিকিৎসাসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতই তাঁদের প্রথম পছন্দ। নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা থেকে শুরু করে ক্যানসার, লিভার, চোখ, নিউরোলজি, হার্টের চিকিৎসা ও বিভিন্ন ধরনের সার্জারির জন্য প্রতিদিন বহুসংখ্যক মানুষ রাজশাহী থেকে ভারতের কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বাই, নয়াদিল্লি, বেঙ্গালুরু, ভেলর, হায়দরাবাদের হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছে। দূরত্ব কম ও একই ভাষা-সংস্কৃতি হওয়ার কারণে চিকিৎসা ও পর্যটনে কলকাতাই এ অঞ্চলের মানুষের প্রথম পছন্দের স্থান। শুধু তা–ই নয়, রাজশাহী–কলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানবিনিময় বৃদ্ধি পাবে। এতে উভয় দেশের মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।

মেয়র লিটন বলেন, রেলভ্রমণ নিরাপদ, আরামদায়ক ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় সহজেই এ এলাকার লোকজন রাজশাহী থেকে কলকাতা তথা ভারতে যেতে পারবে। রাজশাহী থেকে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে গেদে হয়ে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বৈঠকে এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।