পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কিশোরগঞ্জ জেলার মানচিত্র

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ হোসেনপুর থানায় মামলাটি করে।

এর আগে সন্ধ্যায় হোসেনপুর পৌরসভার নতুন বাজার কুড়িঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির সাত নেতা-কর্মীকে আটক করে। পরে তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীরা হলেন বিল্লাল হোসেন (২৩), নাঈম হোসেন (১৭), তানভির হাসান (৩০), শাহ আলম (৩৪), সোহরাব উদ্দিন (৫৬), মোস্তফা সারোয়ার (৪৩) ও রিপন মিয়া (৪৫)।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম বলেন, এক ব্যক্তির পায়ের রগ কেটে দেওয়ার মামলায় স্থানীয় বিএনপি নেতা খোররম ও তাঁর ভাই জলিল এজাহারভুক্ত আসামি। জলিল আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যার দিকে খোররমকে হোসেনপুরের নতুন বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সেখানে বিএনপি কার্যালয়ে সভা করতে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন ও ককটেল নিয়ে হামলা চালান। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে।

এ ঘটনায় এসআই ফজলুল হক বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এদিকে আহত চার পুলিশ সদস্য হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফজলুল হক, এএসআই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও কনস্টেবল আজাদ হোসেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে হোসেনপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে হোসেনপুর উপজেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে গতকাল সন্ধ্যায় প্রস্তুতি সভা চলছিল। পুলিশ বিনা উসকানিতে সেখানে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা ও গুলি করে। এতে তাঁদের কয়েক জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।