জগন্নাথপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ২৫ জন আহত, আটক ১০

সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৩ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) শুভাশীষ ধর ও জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয় পক্ষের ১০ জনকে আটক করেছে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার কুবাজপুর গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৬) ও মোতাহির আলীর ছেলে মঞ্জুর মিয়ার (২৫) মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হয়। কিন্তু পরদিন সোমবার এক পক্ষের লোকজন আরেক পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এবার থানা থেকে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। এরপরও আজ সকালে দুই পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয় পক্ষের ১০ জনকে আটক করেছে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইউসুফ মিয়া (২৮), হাসান মিয়া (২৭), ইজাজ মিয়া (৪০), সাজ্জাদুর রহমান (৭৮), মিলাদ মিয়া (২৮), সুহেল মিয়া (৩০), ফারকাজ মিয়া (৪০) গোলাপ আলী (৩৫), নাহিম (২৩), খলিল মিয়া (৩০), লুবন আলী (৩৪), মুহিমা বেগম (৩৫) ও শানুর আলীকে (২১) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঞ্জুর মিয়ার চাচাতো ভাই রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মিলাদ মিয়া বলেন, ‘প্রতিপক্ষের লোকজন আগে আমাদের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এতে আমিসহ আমাদের পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি।’

জহিরুলের বাবা মজিদ মিয়া বলেন, ‘ফুটবল খেলা নিয়ে আমার ছেলের সঙ্গে ইউপি সদস্য মিলাদ মিয়ার চাচাতো ভাইয়ের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন সমাধান করেন। পরদিন প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেয়। এরপরও আজ সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’