সিলেটে ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, ৫ জন হাসপাতালে

সিলেটের বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে হামলায় আহত ছাত্রদলের পাঁচ নেতা-কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে একটায়
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা লায়েক চৌধুরী, কামরান আহমদ, নাইম আহমদ, নোমান আহমদ ও এনামুল ইসলাম আহত হয়েছে।

তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আরও দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আহত সবাই বিশ্বনাথ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীসহ ছাত্রলীগ নিয়ে কটূক্তি করেছে। এ জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া করে। এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মানিক মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকার কল করা হলে তিনি ধরেননি।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা জাকির আহমদ বলেন, কয়েক দিন ধরে ছাত্রদলের বহিরাগত নেতারা কলেজে মহড়া দিচ্ছিল। আজও কলেজের কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে তাঁরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ছাত্রদলের নেতাদের পরীক্ষা শেষে তাঁরা বহিরাগতদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নিয়ে কটূক্তি করেন। এসব শুনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। একপর্যায়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ঘটনার সময় তিনি ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন না।

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা মডেল টেস্ট দিয়ে বেলা একটার দিকে পরীক্ষার কক্ষ থেকে বের হন। এক পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর স্টিলের পাইপ ও হকিস্টিক নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় তাঁদের চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

হামলায় আহত ছাত্রদল নেতা লায়েক চৌধুরী বলে, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা জাকির আহমদের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন নেতা-কর্মী তাঁদের ওপর হামলা চালান।

ছাত্রদলের আহত নেতাদের দেখতে বিকেলে হাসপাতালে যান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। এ সময় এমরান আহমদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’