রেজিস্ট্রার–সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে ডাকা কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানচিত্র

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর অফিসকক্ষে ঢুকে তাঁর হামলার ঘটনায় ডাকা সারা দেশের জেলা রেজিস্ট্রার ও সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়গুলোতে ডাকা কর্মবিরতির কর্মসূচি বৃহস্পতিবার থেকে স্থগিত করা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অহিদুল ইসলাম ও মহাসচিব এস এম শফিউল বারী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার আফছানা বেগম।

বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ নিন্দনীয় ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও এ ঘটনার জন্য দায়ী শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে আইনমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর ওপর হামলার ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। শিবগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মোহরার মামুন অর রশিদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সাবরেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী এজলাসে দলিল রেজিস্ট্রি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তখন লাঠি ও পাইপ হাতে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন লোক সাবরেজিস্ট্রারের অফিসকক্ষে ঢোকেন। ছয়জন লোক এজলাসে উঠে পেপার ওয়েট, কাচের গ্লাস, লাঠি ও পাইপ দিয়ে ইউসুফ আলীর মাথার একাধিক স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে তাঁকে মারাত্মক আহত করেন। এ সময় তাঁরা ওই কার্যালয়ের ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন এবং কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে দেন। সেখানে থাকা দলিল লেখকেরা ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ইউসুফ আলীর মাথায় পাঁচ-ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ প্রথম আলোকে জানান, মামলায় শিবগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের তিনজন দলিল লেখককে বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনায় তাঁদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সাদিরুল ইসলাম, মো. আলফাজ উদ্দীন ও মো. হামিদুর রহমান। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।