৪ দিনের ব্যবধানে ফের সড়ক অবরোধ করলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

চার দিনের ব্যবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বারের মতো খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনার জেরে এবারের অবরোধের ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত নগরের গল্লামারী এলাকার মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের হাসিব নামের একজন শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলে করে বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে নগরের গল্লামারী এলাকায় একটি লাশবাহী ট্রাক সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকায় সেটি সরাতে হর্ন দেন তিনি। তখন সেখানে থাকা এক ব্যক্তি ওই শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেন। পরে ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে গিয়ে ঘটনা জানালে অন্য  শিক্ষার্থীরা এসে গল্লামারী এলাকায় অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় সড়কটিতে যানজট তৈরি হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার পর পুলিশ কর্মকর্তারা রাতের মধ্যে দোষীদের আটকের প্রতিশ্রুতি দিলে পৌনে ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, রাস্তার পাশে জানাজা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হর্ন বাজালে জানাজায় অংশগ্রহণকারী একজন রাগান্বিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধাক্কা মারলে তিনি পড়ে যান। তখন ওই শিক্ষার্থী চলে যান। পরে আবার অন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। যিনি ধাক্কা দিয়েছিলেন, তিনি একজন ড্রেজার শ্রমিক। তিনি জানতেন না যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়েছেন। আবার ওই শিক্ষার্থীও বুঝতে পারেননি সেখানে জানাজা চলছিল। সে কারণে হর্ন বাজিয়েছেন কয়েকবার। দুই পক্ষের ভুল–বোঝাবুঝির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।  যিনি ধাক্কা দিয়েছিলেন তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও ক্ষমা করে ব্যারিকেড তুলে নিয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো মামলা-মোকদ্দমা হয়নি।’

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় চারটি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ওই অবরোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী।