‘যিনি সরকারি চাকরি পাননি, তাঁদেরই স্যার বলতে কষ্ট লাগে’

টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ‘স্যার’ সম্বোধন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বিতর্কিত’ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান বাবুল। তিনি ‘কবি বাবুল’ নামে ফেসবুকে তাঁর মতামত প্রকাশ করেন।

ওই আইডি থেকে আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ‘স্যার’ সম্বোধন নিয়ে তিনি লেখেন, ‘যিনি হাজারবার চেষ্টা করেও সরকারি চাকরি পাননি, তাঁদেরই স্যার বলতে কষ্ট লাগে। সরকারি চাকরি পেতে কত কষ্ট, নিয়ে দেখুন।’

আরও পড়ুন
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার ফেসবুক স্ট্যাটাস
ছবি: সংগৃহীত

স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আছাদুজ্জামান বাবুল বলেন, ‘অনেকেই তুচ্ছ কইর‌্যা, আমাকে ফোন কইর‌্যা খালি কয় চাকর। এ জন্য বলছি চাকরি না হইলে কত কষ্ট! এই কারণে বলছিলাম আরকি।’

এ সময় ‘আপা-ভাই ডাকলে মাইন্ড করার কিছুই নেই; কর্মকর্তাদের স্যার-ম্যাডাম ডাকতে হবে, এমন নীতি নেই’ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ‘স্যার’ বলা নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের মন্তব্য তুলে ধরলে তিনি বলেন, চাকরি করতে কত যে কষ্ট লাগে, তা অনেকেই বুঝতে চান না। এর কিছুক্ষণ পর তিনি ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রওশন আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রত্যেককে ভেবে কথা বলতে হবে। আমরা সবাই প্রজাতন্ত্রের সেবক—সেটা সবাইকে মানতে হবে, যা জাতির পিতার ১ নম্বর কথা। আমাদের কাজ সেবা দেওয়া। আমরা সবাই প্রজাতন্ত্রের চাকর। অত বড়লোকি দেখানোর কিছুই নেই।’

ওই কর্মকর্তার বিষয়ে রওশন আরা আরও বলেন, তাঁর কার্যকলাপ ভালো নয়। তিনি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতেন না। কাজের প্রতি তাঁর ব্যাপক অনীহা আছে।

আরও পড়ুন