খালে কিশোরীর লাশ, তদন্তে জানা গেল ‘বাবা-মা-ভগ্নিপতির হাতে’ খুন হয়েছে সে

লাশপ্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর বাউফ‌লে প্রেমের সম্পর্কের জেরে এক কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তার বাবা-মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার রাত সোয়া আটটায় বাউফল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) আরিফ মুহাম্মদ শাকুর।

২৩ আগস্ট সকালে উপজেলার কুম্ভখালী গ্রামের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে খাল থেকে কিশোরী উর্মি ইসলামের (১৪) মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে তাকে খুনের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলার আবেদন করেন তার বাবা নজরুল ইসলাম।

আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, তদন্তে হত্যার মূল কারণ বেরিয়ে আসে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিশোরীর বাবা নজরুল ইসলাম, মা আমেনা বেগম ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেনকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তাঁরা ওই কিশোরীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের তিনজনকে আজ বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। তাঁরা ওই কিশোরীকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

পুলিশের ভাষ্য, উর্মির সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০ আগস্ট দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলাটিপে ধরলে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায় উর্মি। এরপর তার বাবা-মা ও ভগ্নিপতি মিলে মরদেহ খালে নিয়ে ফেলে দেন। এরপর পুলিশের একাধিক ইউনিট মামলার তদন্ত শুরু করলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসে।