পার্বতীপুরে ট্যাংকলরি ঝালাইয়ের সময় বিস্ফোরণে মিস্ত্রি নিহত

বিস্ফোরণে ট্যাংকলরিটির সামনের ও পেছনের অংশ উড়ে যায়। এ সময় পাশে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শনিবার সন্ধ্যায় পার্বতীপুর বাস টার্মিনালের পাশে
ছবি: প্রথম আলো

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় ঝালাই (ওয়েল্ডিং) কাজ করার সময় একটি ট্যাংকলরি বিস্ফোরণে রতন হোসেন (৩০) নামের একজন মিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পার্বতীপুর বাস টার্মিনালের পাশে একটি গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রতন হোসেন দিনাজপুর শহরের শেখপুরা সদর এলাকার আবুল কালামের ছেলে। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে ওই মিস্ত্রির সহকারী নাহিদ (১৬) ও একটি বাসের চালকের সহকারী বাদশা (৪০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাদশাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নাহিদকে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, ট্যাংকলরি ঝালাইয়ের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ট্যাংকলরিটির সামনের ও পেছনের অংশ উড়ে যায়। এ সময় পাশে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে পার্বতীপুর মডেল থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানায়, ট্যাংকলরিটির ঢাকনা না খুলে ঝালাইয়ের কাজ করায় ভেতরে জমে থাকা গ্যাসের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।

ওই ট্যাংকলরির চালক সেরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ট্যাংকলরিটি মেরামত করতে দিয়ে পাশের দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখেন, মিস্ত্রি রতন ও তাঁর সহকারী নাহিদসহ তিনজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাঁরা সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন।