গাজীপুর সিটি নির্বাচন করাটা কি চ্যালেঞ্জ মনে করছেন?
ফরিদুল ইসলাম: গাজীপুর একটি বড় সিটি করপোরেশন। বড় একটি সিটি নির্বাচন করতে চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। আশা করি, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভালো একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
ভোটের আর কিছুদিন বাকি আছে। এখন নির্বাচনের পরিবেশ কেমন বলে আপনি মনে করেন?
ফরিদুল ইসলাম: এখন পর্যন্ত আমার কাছে নির্বাচনের পরিবেশ অনেক ভালো মনে হয়েছে।
আচরণবিধি অনেকেই মানছেন না। আপনারা কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন?
ফরিদুল ইসলাম: এর মধ্যে আমরা ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ অনেক প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও নির্বাচন কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য এখন পর্যন্ত কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন? কত টাকা জরিমানা করেছেন?
ফরিদুল ইসলাম: প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছেন, আবার মানছেন না। আমরা সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের কাছে সঠিক প্রমাণ থাকলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন বাইরে আছি। তাই সঠিক সংখ্যাটা আপনাকে বলতে পারছি না।
নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বেশ কয়েকটি স্থানে। আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
ফরিদুল ইসলাম: আজমত উল্লা খানকে নির্বাচন কমিশন থেকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তাঁকে সরাসরি কমিশনে গিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তিনি ৭ মে তিনি হাজির হয়ে জবাব দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে এমন হবে না বলে কথাও দিয়েছেন। আমরা তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হয়েছি।
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তাঁর মা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে নিয়ে কয়েকটি স্থানে গাড়িবহর নিয়ে ভোট চেয়েছেন। সে বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
ফরিদুল ইসলাম: আমরা জায়েদা খাতুনকেও কারণ দর্শাতে বলেছিলাম। তাঁর নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম শোকজের জবাব দিয়েছেন। আমরা তাঁকেও আচরণবিধি মেনে চলতে বলেছি।
নির্বাচনের প্রস্তুতি কেমন?
ফরিদুল ইসলাম: সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং চলছে। এর মধ্যে ইভিএমে ট্রেনিং শুরু হয়েছে।