লোহাগাড়ায় চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশু বেশি, বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা খামারিদের
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এরই মধ্যে কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, লোহাগাড়ায় চাহিদার চেয়ে প্রায় ১৫ হাজার বেশি পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
খামারিরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে পশুর সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও চোরাইপথে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা গরু বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় তাঁদের লালনপালন করা কোরবানির পশুর বিক্রি এবং ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে তাঁরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৩৫ হাজার। তবে বিক্রির জন্য উপজেলার প্রায় ৮০০ খামারির কাছে প্রস্তুত রয়েছে ৫০ হাজার পশু। সেই হিসাবে স্থানীয়ভাবে লালনপালন করা পশু দিয়েই চাহিদা মেটানো সম্ভব।
লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের সাতগড়িয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও এম এস এগ্রোর মালিক তৈয়ব তাহের বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে কোরবানির পশু বাংলাদেশে ঢুকছে। এতে স্থানীয় খামারিদের লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আমিরাবাদ ইউনিয়নের জনকল্যাণ এলাকার সাদ এগ্রোর মালিক আব্দুল্লাহ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গো খাদ্যের দাম ২৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। বেড়েছে খামারে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরিও। এ অবস্থায় খামারিদের আশা, কোরবানির পশু বিক্রিতে বাড়তি কিছু দাম পাবেন। মিয়ানমার ও ভারত থেকে নিয়ে আসা গরু বাজারে উঠলে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া সম্ভব না।
উপজেলার ছয়টি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বৃহত্তম পদুয়া তেওয়ারি হাটে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও দূর-দূরান্তর ক্রেতারা আসছেন। গতকাল বুধবার এই হাঁটে গরু, ছাগল, মহিষসহ কোরবানির পশু বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ এম খালেকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার হাটগুলোতে যাতে কেউ অসুস্থ গরু বিক্রি করতে না পারে তা তদারকির জন্য দুজন উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ দল বাজার তদারকি করছে।
লোহাগাড়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির পশুর হাট অথবা পশু পরিবহনের গাড়ি থেকে কেউ চাঁদা দাবি করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ হাটে পুলিশের বিশেষ টিম নিয়োজিত রয়েছে।