পাকুন্দিয়ায় ইজিবাইক থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

নারী নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ইজিবাইক থেকে তুলে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।  

গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তারাকান্দি ফাজিল মাদ্রাসার মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন বীর পাকুন্দিয়া এলাকার কাউসার আহম্মেদ (২৪) ও জুবায়েদ হাসান (১৮) এবং চর পাকুন্দিয়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (২৪)।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশ জানায়, ওই তরুণী তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গতকাল শনিবার তিনি তারাকান্দি বাজারে ঘুরতে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু সাব্বির হোসেন (১৮), সাব্বিরের পরিচিত অটোরিকশাচালক হুমায়ুন কবির (২১) ও সাব্বিরের বন্ধু আশরাফ উদ্দিন (২০)।

এ সময় স্থানীয় কাউসার আহম্মেদ, জুবায়েদ হাসান, মেহেদী হাসান, হৃদয়, বাবু, তোফাজ্জল হোসেন ও ইয়াসিন তাঁদের অটোরিকশাটিকে আটকে তারাকান্দি ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে নিয়ে যান। সেখানে মুক্তিপণ বাবদ তাঁরা সাব্বিরের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা চান। টাকা না দিলে অটোরিকশাসহ তরুণীকে আটকে রাখার হুমকি দেন। তখন সাব্বির সেখান থেকে পালিয়ে যান।

এরপর ওই তরুণেরা অটোরিকশার চালক হুমায়ুন ও আশরাফকে মাদ্রাসার মাঠে আটকে রেখে তরুণীকে একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে হৃদয়, মেহেদী, বাবু, কাউসার ও জোবায়ের হোসেন তাঁকে ধর্ষণ করেন। এদিকে মাদ্রাসার মাঠে থাকা আশরাফ মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহের কথা বলে কৌশলে সেখান থেকে বের হয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান।

খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আল আমিন হোসাইন বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও কাউসার আহম্মেদ ও জুবায়েদ হাসান ধরা পড়েন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তোফাজ্জল হোসেন নামের তাঁদের আরেক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণের ঘটনায় রোববার পাকুন্দিয়া থানায় ওই তরুণী সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর সাব্বিরকেও ডেকে এনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।