নাটোরে হাসিলের টাকার ভাগ না পেয়ে ইজারাদারকে মারধরের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

যুবলীগ নেতার মারধরে আহত নাটোরের বড়াইগ্রামের লক্ষ্মীকোল হাটের ইজারাদার যুবায়ের হোসেন। আজ সোমবার সকালে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেছবি: প্রথম আলো

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় একটি হাটের হাসিলের টাকার ভাগ না দেওয়ায় যুবলীগের এক নেতা ইজারাদারসহ তিনজনকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার লক্ষ্মীকোল হাটে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত নেতার নাম কাউসার আহমেদ ওরফে অপু (৩৫)। তিনি লক্ষ্মীকোল এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে ও বড়াইগ্রাম পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে ও লক্ষ্মীকোল হাটের ইজারাদার যুবায়ের হোসেন (৩৭), একই এলাকার শহীদুল ইসলাম (৩২) ও বজলুর রহমান (৪২)।

লক্ষ্মীকোল হাটের ইজারাদার যুবায়ের হোসেন বলেন, সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন। এ নিয়ে নৌকার কর্মী যুবলীগ নেতা কাউসার আহমেদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়। নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী হওয়ার পর কাউসার আহমেদ হাটের আদায় করা হাসিলের ভাগ দাবি করেন। যুবায়ের তা না দিলে ক্ষুব্ধ হন কাউসার। আজ সকালে হাট চলাকালে ১০–১২ জন সহযোগীকে নিয়ে হাটে আসেন কাউসার। একপর্যায়ে তিনি ইজারাদারের কাছে আদায় করা হাসিলের অর্ধেক দাবি করেন। যুবায়ের দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে মারধর করেন কাউসার ও তাঁর সহযোগীরা। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করতে আসলে শহীদুল ইসলাম ও বজলুর রহমানকেও মারধর করা হয়। পরে হাটের ব্যবসায়ীরা তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

যুবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমি সরকারিভাবে হাটের ইজারা নিয়েছি। হাটের দেখভাল করার জন্য সরকার আছে। আমি কেন আদায় করা হাসিলের অর্ধেক তাঁকে দেব? আর আমি যদি কোনো অনিয়ম করি, তাহলে তা সরকারের কর্তৃপক্ষ দেখবে।’

কাউসার আহমেদ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি এসবের কিছুই জানি না। তাঁদের নিজেদের মধ্যে হয়তো কোনো ঝামেলা হতে পারে। সেটা অন্যায়ভাবে আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন।’

বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারি বলেন, ‘আহত ইজারাদারকে চিকিৎসার পর আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। আমিও অভিযোগ পেয়েছি। পৌর আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে পুলিশের টহল গাড়ির চালককে মারধর করার অভিযোগে হওয়া মামলায় কাউসার আহমেদ আসামি। সেই মামলায় জামিনে এসে এই ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আযম বলেন, হাটের ঘটনা নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ তাঁর থানায় করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।