কাজে যাওয়ার পথে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত

দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা কাভার্ড ভ্যান ভাঙচুর করেন। আজ সকালে শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে আমিন বাজার এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরে কাভার্ড ভ্যান ও নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নির্মাণশ্রমিক নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে সদর উপজেলায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে আমিন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত লোকমান শেখ (৪৫) উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হোগলা মাকসাহার এলাকার মৃত মনব শেখের ছেলে। তিনি নছিমনে চড়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লোকমান শেখ নির্মাণশ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। আজ সকালে তিনিসহ সাতজন শ্রমিক নছিমনে চড়ে হোগলা মাকসাহার থেকে মনোহর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। আমিন বাজার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা চাঁদপুরগামী একটি কাভার্ড ভ্যানের নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লোকমান সড়কে ছিটকে পড়েন এবং কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নছিমনটি ছিটকে সড়কের পাশে খালে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান। এ সময় উত্তেজিত জনতা কাভার্ড ভ্যান ভাঙচুর করেন। পালং মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, নছিমনে করে কয়েকজন মনোহর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। উল্টো পাশ থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা কাভার্ড ভ্যান নছিমনটিকে ধাক্কা দেয়। লোকমান সড়কের ওপর পড়ে যান। তাঁর ওপর দিয়ে কাভার্ড ভ্যান চলে যায়।

নিহত লোকমান শেখের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ হান্নান বলেন, কাজে যাওয়ার পথে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় লোকমান নিহত হয়েছেন। সে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এখন পরিবারটি যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে, সরকার থেকে যেন সেই ব্যবস্থা করা হোক। যাদের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিচার করতে হবে।

পালং মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসি। এ ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছেন। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’