নানার বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ কিশোরীর লাশ উদ্ধার, ধারণা ‘ধর্ষণের পর হত্যা’

লাশ
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে নানার বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজের পরদিন ১২ বছর বয়সী কিশোরীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার একটি খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ খালে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।

নিহত কিশোরীর বাড়ি মাদারীপুর সদরে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।

কিশোরীর স্বজনেরা ও পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নানার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। কিন্তু নানার বাড়িতে পৌঁছায়নি। তখন তাকে খুঁজতে থাকেন পরিবারের লোকজন। কোথাও কোনো সন্ধান না পেয়ে গতকাল দুপুরে সদর মডেল থানায় কিশোরীর মা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। রাতে একটি খালে কিশোরীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পুলিশ গিয়ে রাত ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কিশোরীর মা বলেন, ‘ওর বাবা বিদেশে থাকে। এই সুযোগে আমার মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওর সঙ্গে কার কী শত্রুতা? কেন ওরে মারল? কারা মারছে? জানি না। যারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে, তাদের ফাঁসি চাই আমি। বিচার চাই আমি।’

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ধর্ষণ শেষে শ্বাস রোধ করে কিশোরীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে দুর্বৃত্তরা কিশোরীর লাশ খালের পানিতে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েটি দেখতে খুবই সুন্দর। যারা ওর সঙ্গে এ ধরনের জঘন্য কাজ করেছে, তাদের সর্বোচ্চ বিচার হওয়া দরকার।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর কিশোরীকে হত্যা করে নির্জন স্থানে লাশটি ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা হবে।’