মাদারীপুরে দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ৩টি মুঠোফোন, ২২টি সিম ও ৯১ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়। বুধবার বিকেল পাঁচটায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে রাজৈর উপজেলার লুনদী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার লুনদী এলাকার মৃত হক মিয়ার ছেলে আনিসুর রহমান ও সৈয়দ ইদ্রিস আলী মীরের ছেলে সৈয়দ আমান মীর।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, আমান মীর ও আনিসুর রহমান দুর্ধর্ষ প্রতারক। তাঁরা দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে প্রতারিত করেছেন। তাঁদের মূল টার্গেট ছিল সমাজের বিশিষ্ট মানুষ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে চক্রের সদস্য সৈয়দ আমান মীর প্রতারণার মাধ্যমে একজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় আরও মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন।

এমন একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখা অভিযানে নামে। পরবর্তী সময়ে প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের ধরতে সক্ষম হয়।

পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, এ চক্রের সদস্য আনিসুর, যাঁকে আমরা দেড় মাস আগেও গ্রেপ্তার করেছিলাম। যাঁর বিরুদ্ধে এখনো সাতটি মামলা চলমান। তিনি সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে একই প্রতারণার কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি এই চক্রের মূল হোতা সৈয়দ আমান মীরকে এ কাজে সহযোগিতা করে আদায় করা অর্থের ভাগ নিয়েছেন, যা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা এ কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩টি মুঠোফোন, বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ২২টি সিম, প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা ৯১ হাজার ৩০০ টাকা, বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মুঠোফোন নম্বর ও একটি পরিচিতি-সংবলিত স্মরণিকা উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়হান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা অভিযান পরিচালনা করে চক্রের মূল হোতা সৈয়দ আমান মীর ও আনিসুরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের সঙ্গে এই চক্রের আরও সদস্য থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’