প্রাণনাশের হুমকি ও প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন। বুধবার দুপুরে সিঙ্গাইর উপজেলার বাইমাইল এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর-হরিরামপুর-সদর একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ।

আজ বুধবার সিঙ্গাইর উপজেলার বাইমাইল এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব অভিযোগ করেন। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহম্মেদ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিঙ্গাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা গ্রামে তাঁর কর্মীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী ইস্কান্দার নৌকায় ভোট না দিলে হাত কেটে ফেলার হুমকি দেন। এমনকি গুলি করারও হুমকি দেন। আওয়ামী লীগ নেতার হুমকি দেওয়ার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তিনি উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন।

জাহিদ আহমেদ আরও বলেন, গত রোববার বিকেলে হরিরামপুর উপজেলা সদরে নৌকার কর্মীরা তাঁর (ট্রাক প্রতীক) তিন কর্মীকে মারধর করেন। আহত কর্মীদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া গত কয়েক দিনে নৌকার কর্মীরা তাঁর কর্মীদের মারধরসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন। প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিয়ে আসছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বায়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ হোসেন, সিঙ্গাইর পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তার অধিকাংশই মিথ্যা। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কাউকে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না।

মানিকগঞ্জ-২ আসনে দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ (ট্রাক), মমতাজ বেগমসহ (নৌকা) মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ফেরদৌস আহমেদ আসিফ (ফুলের মালা), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের তানভীর হাসান (গামছা), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এ কে নাহিদ (একতারা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এ কে এম ইকবাল হোসেন (নোঙ্গর), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জাকির হোসেন (ডাব), স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান খান (কেটলি) ও দেওয়ান সফিউল আরেফিন (মোড়া)।