ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বরাক নদ ও ধোবাউড়া উপজেলার নেতাই নদ থেকে অবাধে বালু তোলার কারণে সীমান্তের শূন্যরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমানা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে হালুয়াঘাটের বরাক নদে দুটি সীমানা পিলার বিলীন হয়েছে এবং ধোবাউড়ার নেতাই নদে দুটি পিলার বিলীনের ঝুঁকিতে আছে।
আজ শনিবার দুপুরে বিজিবির ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হাসান।
৩৯ বিজিবির মাল্টিপারপাস শেডসংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে সংবাদ সম্মেলন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘সীমান্ত পিলারগুলো যেভাবে বিলীন হচ্ছে তাতে দেশের সীমানা নির্ধারণ করা দুষ্কর হয়ে যাবে। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
লিখিত বক্তব্যে বিজিবি অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি হালুয়াঘাটের বরাক নদে ইজারাবহির্ভূত এলাকা থেকে রাতের আঁধারে বিপুল পরিমাণ বালু কিছু কুচক্রী মহল এবং অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে উত্তোলন করছেন। বরাক নদ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন স্থান নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডসহ কৃষিজমি, সীমান্ত পিলার, স্থানীয় জনসাধারণের বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা পরিবর্তিত হওয়াসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সীমান্তসংলগ্ন নদ থেকে প্রভাবশালী মহলের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু তোলার বিষয়টি হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত আছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবির যৌথ উদ্যোগে টাস্কফোর্সের অভিযান চলমান। বিজিবির নিয়মিত অভিযান পরিচালনা সত্ত্বেও ইজারাকৃত জায়গার বাইরে অন্য মৌজা থেকে অবৈধ বালু তোলা চলমান আছে। এতে সীমান্তের অতি নিকটবর্তী ১৫০ গজ এলাকার মধ্যে ভূমির প্রকৃতি পরিবর্তন এবং সীমান্ত পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হাসান জানান, গত ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮টি অভিযানের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৩৩০ ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না।