ব্রহ্মপুত্রে এক মাসের ব্যবধানে যাত্রীবাহী নৌকায় আবার ডাকাতি

ডাকাতিপ্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের চিলমারী-রাজীবপুর নৌপথে ব্রহ্মপুত্র নদে এক মাসের ব্যবধানে আবার যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে চিলমারী উপজেলার কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিমে গাইবান্ধা সীমান্তে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম সরকার ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর চিলমারীর অষ্টমীরচর ইউনিয়নের দুই শ বিঘার চরের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।

চিলমারীর রমনা নৌঘাট কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে রাজীবপুরের উদ্দেশে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ছেড়ে যায়। নৌকাটি চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে ব্রহ্মপুত্র নদে পৌঁছার পরপরই সশস্ত্র ডাকাতদের হামলা চালায়। আনুমানিক ১১ জনের ডাকাতদল ডিঙিনৌকায় গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্রের মুখে নৌকা থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। পরে যাত্রীদের টাকাপয়সা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় তাঁরা যাত্রীদের নৌকার শ্যালো ইঞ্জিনের হ্যান্ডেল নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী যাত্রী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চিলমারী থেকে নৌকায় উঠে রাজীবপুরে যাচ্ছিলাম। পথে কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিম দিকে ব্রহ্মপুত্র নদে যখন আমাদের নৌকা অবস্থান করছিল, তখন কড়াইবরিশাল চরের দিক থেকে একটি ছোট নৌকা আমাদের কাছে আসে। দেশি অস্ত্র, শটগান নিয়ে ১১ জনের ডাকাতদল আমাদের নৌকায় হামলা চালায়। তারা আমাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের উদ্ধার করে।’

নৌ পুলিশের এএসআই সেলিম সরকার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতি করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। ওই অঞ্চলটি কুড়িগ্রামের চিলমারী, রাজীবপুর উপজেলা ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত। এ ছাড়া নৌকার যাত্রীরা ডাকাত দলের কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। যাত্রীদের পক্ষে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তাই তাঁরা নিজেদের মতো অনুসন্ধান করছেন।