সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো স্বজনের মুখ দেখার সুযোগ দিল বিজিবি ও বিএসএফ

বাংলাদেশি আত্মীয়দের ভারতীয় এক নারীর লাশ দেখার সুযোগ করে দেয় বিজিবি ও বিএসএফ। শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখায়ছবি: বিজিবির সৌজন্যে

ভারতীয় এক নারী নাগরিকের মৃত্যুর পর তাঁর বাংলাদেশি আত্মীয়দের অনুরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখায় লাশ দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আত্মীয়েরা শেষবারের মতো লাশ দেখার এমন সুযোগ পেয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘মানবিক সেবা ও মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মৌলিক দায়িত্বের অংশ, যা আমরা আন্তরিকভাবে পালন করি।’

আজ শুক্রবার বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার কালিয়াচক থানার দুইছতরবিঘি গ্রামের বাসিন্দা ফনি বেগম (৭৫) বার্ধক্যের কারণে মারা যান। বিষয়টি জানার পর বাংলাদেশে বসবাসকারী তাঁর ভাই আতাউর রহমান ও স্বজনেরা শেষবারের মতো ফনি বেগমকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ জন্য বিজিবির সহযোগিতা চান। আবেদনের পরপরই বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে উভয় বাহিনীর সম্মতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কিরণগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৭৯/৩–এসের কাছে শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ফনি বেগমের লাশ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। আত্মীয়েরা শেষবারের মতো লাশ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে বিজিবি ও বিএসএফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আত্মীয় ও গ্রামবাসী মিলে সীমান্তের শূন্যরেখায় গিয়ে বোনকে দেখে এসেছেন জানিয়ে ফনি বেগমের ভাই আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বড় ফনি বেগমের পুরো নাম আলতাফুননেসা। তিনি সাত ভাইয়ের এক বোন ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। তাঁকে ভারতে বিয়ে দেওয়া হয়।’