কুমিল্লায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যাকাণ্ড

মরদেহপ্রতীকী ছবি

কুমিল্লার লাকসামে হায়াতুন্নবী (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের চোখ ও নাকে গুরুতর আঘাত ছিল। পুলিশের ভাষ্য, ওই যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার বড়বাম গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা হায়াতুন্নবীকে হত্যা করে তাঁর বাড়ির পাশে ফেলে যায়। গতকাল সকালে এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। মরদেহ উদ্ধারের সময় চোখ, নাক ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের চোখে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। এটি কোনোভাবেই স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আমাদের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’

স্থানীয় আরও কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, নিহত হায়াতুন্নবীর সঙ্গে কারও দৃশ্যমান কোনো শত্রুতা ছিল না। এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। তাঁরা দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

গতকাল রাত ৯টার দিকে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে বলা যাচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। নিহত ব্যক্তির ভাই একটি হত্যা মামলা করেছেন।