বাগেরহাটে চোর সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগ

বাগেরহাট জেলার মানচিত্র

বাগেরহাটে চোর সন্দেহে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মো. আজিজুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফকির রনি (৩৭) নামের এক ব্যক্তি বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পোলট্রি ফিড ব্যবসায়ী ফকির রনি বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা গ্রামের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল ও তাঁর সহযোগীরা ফকির রনিকে আটকে রেখে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ছাত্রলীগ নেতা মো. আজিজুল একই ইউনিয়নের পাটরপাড়া বারুইডাংঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

লিখিত অভিযোগ ও ফকির রনির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৩ মে খুলনার ফুলতলা থেকে পিকআপ ভ্যানে করে সরকারি ধানবীজ বাগেরহাটের মল্লিকের বেড়-সন্ন্যাসী এলাকায় পৌঁছে দিয়ে রাত দুইটার দিকে বারুইডাঙ্গা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি যান তিনি। সেখানে রাস্তার পাশে পিকআপ রাখা হয়। রাত তিনটার দিকে একটি নম্বর থেকে ফোন করে পিকআপের দরজা খোলা জানালে তিনি রাস্তায় যান। সেখানে গিয়ে পিকআপের দরজা খোলা, সামনের লাইট ও ড্যাস বক্স ভাঙা দেখতে পান। সেই সঙ্গে গাড়ির কাগজপত্র ছাত্রলীগ নেতা আজিজুলের হাতে দেখতে পান। তখন তাঁকে (রনিকে) দেখামাত্র আজিজুল বলেন, ‘তুই আমাদের দেখে দৌড় দিলি কেন, গাড়িতে রাখা গরুগুলো কোথায় গেল?’ এই বলেই তাঁকে মারধর শুরু করেন। থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টেনেহিঁচড়ে করে গাড়িতে তোলেন এবং পশ্চিমডাঙ্গা ক্লাবঘরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন। তাঁকে (রনি) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছেন ও গায়ে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মোজাম ঘটনাস্থলে আসলে আজিজুল ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে ছেড়ে দেন। তাঁর পকেটে থাকা নগদ টাকাও নিয়েছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মো. আজিজুল বলেন, গরুচোর সন্দেহে ফকির রনিকে ধরা হয়। তাঁকে নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা। রাতে গ্রামের রাস্তায় পিকআপ দেখে চোর সন্দেহে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ইউপি সদস্য মো. মোজাম ঘটনাস্থলে এসে ফকির রনি চোর না বলে বিষয়টি নিশ্চিত করলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনা শুনেছেন। ওই ব্যবসায়ী লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।