নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়, হালকা বৃষ্টি, জেলেরা মাছ ধরতে গেছেন নদীতে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে নোয়াখালী উপকূলীয় এলাকায় আজ রোববার সকাল থেকে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাস বইলেও গতিবেগ খুবই কম। নদী অনেকটাই শান্ত, তবে জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়ার চতলার ঘাট এলাকা থেকে একদল জেলেকে ট্রলার নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যেতে দেখা যায়।
আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট, চতলার ঘাট, চানন্দি ইউনিয়নের জনতার ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে সাধারণ মানুষজনের মধ্যে তেমন কোনো আতঙ্ক নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান গতকাল শনিবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লোকজন যাননি।
চেয়ারম্যান ঘাটে নৌচলাচল বন্ধ থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষজনের উপস্থিতি ছিল কম। তবে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বেড়িবাঁধের আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা গতকাল রাতে বেড়িবাঁধের ভেতরে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। সকালে যে যার মতো কাজে ফিরে গেছেন।
বেলা ১১টায় চতলার ঘাটসংলগ্ন নদীর তীরে টংদোকানে চা বিক্রি করতে দেখা যায় ১০ বছরের মো. পারভেজকে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে জানতে চাইলে সে বলে, ‘ঝড় তো এখনো আসেনি। বাতাস শুরু হলে দোকান বন্ধ করব। তবে ঝড়ের কারণে মানুষ ঘাটে কম এসেছে, তাই বেচাকেনা কম।’
চতলার ঘাটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়ের আতঙ্কের কারণে গতকাল রাতে তিনি স্থানীয় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। সকালে এসে দোকান খুলেছেন। রাতে ও সকালে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে কারণে ঘাট বন্ধ থাকায় মানুষজনের আনাগোনা কম। এ কারণে দোকানে দোকানে বেচাবিক্রিও কম। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি।
বেলা ১১টার দিকে চলার ঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে কয়েকজন জেলেকে নদীতে মাছ ধরতে যেতে দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদী যতটা উত্তাল থাকবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সে রকমটা না থাকার কারণে জেলেরা নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছেন। তা ছাড়া অনেক সময় আরও উত্তাল নদীতে ও জেলেদের মাছ ধরতে দেখা যায় বলে তারা জানান।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরুল কায়সার বেলা ১টায় প্রথম আলোকে বলেন, তিনি নলচিরা ঘাটে রয়েছেন। সেখানে হালকা বাতাস রয়েছে এবং নদী কিছুটা উত্তাল। তবে এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব তিনি লক্ষ করেননি। বৃষ্টিও খুব একটা নেই।