কসাইখানায় ঢুকে দেখলেন, গরু নেই, পড়ে আছে চামড়া-হাড়গোড়
তিন যুগ ধরে বাজারে মাংস বিক্রি করে সোহাগের পরিবার। বাজারে আছে নিজস্ব কসাইখানা ও গরু রাখার স্থান। জবাইয়ের জন্য সেখানে রেখেছিলেন একটি গরু। কিন্তু আজ রোববার ভোরে সোহাগ কসাইখানায় গিয়ে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা, ভেতরে গরু নেই। পাশে পড়ে আছে গরুটির চামড়া ও হাড়গোড়। সোহাগের বুঝতে বাকি থাকে না, গরুটি কসাইখানায় জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে চোর চক্র।
ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরে চন্ডিবের এলাকার পঙ্কু সওদাগর কাঁচা বাজারে। ওই বাজারের সোহাগ মিয়ার কসাইখানা থেকে গরুটির মাংস চুরি যায়। সোহাগের বাড়ি পৌর শহরের চন্ডিবের দক্ষিণপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় শুধু সোহাগ বিস্মিত হননি, এলাকায়ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সোহাগ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ বছর ধরে কসাই পেশায় আছেন তিনি। তাঁর বাবা জসিম উদ্দিন অন্তত তিন যুগ এ পেশায় ছিলেন। কিন্তু বাবা ও তাঁর সময়ে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। প্রথমবারের মতো অভিনব কায়দায় চুরি হলো।
সোহাগের ভাষ্য, বাজারে গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি। একটি গরু চুরি করতে পারলে লাখ টাকা পাওয়া যায়। এখন গরু চুরি করা কঠিন। জীবিত গরু নিয়ে যাওয়া ঝুঁকির। সেই কারণে হয়তো চোর চক্র গরুটি জবাই করে মাংস নিয়ে যাওয়া নিরাপদ মনে করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ব্যক্তিরা জানান, পঙ্কু সওদাগর কাঁচা বাজারে নিজের কসাইখানায় প্রতিদিন ভোরে গরু জবাই করেন সোহাগ মিয়া। পরে সেই মাংস বাজারে বিক্রি করেন। মাংস চুরি যাওয়া গরুটি সোহাগ ৬০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন।
জানতে চাইলে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি থানায় কোনো অভিযোগ দেননি।