লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য প্রার্থীরা এজেন্ট পাচ্ছেন না
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনের ভোট আগামীকাল রোববার। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট পাচ্ছেন না আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীরা। এজেন্ট না পাওয়ায় জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
প্রার্থীদের দাবি, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজনের হুমকির কারণে এজেন্ট হতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে। ঝামেলা এড়াতে অনেক নেতা-কর্মীই মাঠে নেই। তবে আওয়ামী লীগ বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো সুসংগঠিত নয়। তা ছাড়া নিজেদের কোন্দলে এজেন্ট পাচ্ছেন না তাঁরা।
উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন মিয়া গোলাম ফারুক। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহাম্মদ রাকিব হোসেন। এ ছাড়া জাকের পার্টির সামছুল করিম (গোলাপ ফুল) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ (আম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জাকের পার্টির প্রার্থী সামছুল করিম বলেন, প্রতিটি এলাকায় তাঁর দলের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এজেন্ট না হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন নিষেধ করেছেন এলাকায় ঘুরে ঘুরে। এ অবস্থায় কেউ পোলিং এজেন্ট হতে চাইছেন না।
জাতীয় পার্টির রাকিব হোসেন ও পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ বলেছেন, দলের কর্মী-সমর্থকেরা এজেন্ট হতে ভয় পাচ্ছেন। নেতা-কর্মীদের হুমকি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
অভিযোগের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম ফারুক বলেন, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। হুমকির অভিযোগ তুলে মিথ্যাচার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কর্মী-সমর্থক কম থাকায় তাঁরা এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছেন না।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, বিরতিহীনভাবে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের ১১৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। এ আসনে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন ভোটার আছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল মারা যান। ৩ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ৪ অক্টোবর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করছেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে এসে তাঁদের ভোট দিতে পারবেন।