ঘন কুয়াশায় মধ্যরাতে মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ

দুই লঞ্চের সংঘর্ষে চাঁদপুরগামী রফরফ–৭ লঞ্চের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে
ছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী রফরফ-৭–এর সঙ্গে ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে চলাচলকারী এ আর খান লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন লঞ্চের যাত্রী ও লঞ্চকর্মীরা। এতে অন্তত পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন। রফরফ-৭ লঞ্চের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

লঞ্চের যাত্রীরা জানান, গতকাল রাত ১২টার দিকে সদরঘাট থেকে রফরফ-৭ লঞ্চ চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চ কিছুটা ধীরে চলছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে লঞ্চটি মতলবের মোহনপুর এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় পটুয়াখালীগামী এ আর খান নামের একটি লঞ্চ রফরফ লঞ্চটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রফরফ লঞ্চের পেছনে দ্বিতীয় তলার একাংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে আজ মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে লঞ্চটি চাঁদপুর পৌঁছায়।

রফরফ লঞ্চে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদগঞ্জে বাড়ি ফিরছিলেন ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, এ আর খান নামের একটি লঞ্চ তাঁদের লঞ্চটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রফরফের সিটে থাকা পাঁচ যাত্রী দু–তিন হাত দূরে ছিটকে পড়েন। তিনি মাথা ও হাতে আঘাত পান।

আহত যাত্রী মো. মাসুম (৩৫) বলেন, যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে অল্পের জন্য রফরফ ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। অপর যাত্রী নেছার আহমেদ বলেন, দুটি লঞ্চই তিনতলাবিশিষ্ট এবং প্রায় আড়াই শ ফুট লম্বা হওয়ার কারণে রক্ষা পেয়েছে। তবে ছোট লঞ্চ হলে বড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত।

লঞ্চের স্টাফ মো. রুবেল বলেন, ঘন কুয়াশা থাকলেও তাঁরা রাডার ব্যবহার করে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এ আর খান লঞ্চটি রাডার ব্যবহার না করায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তিনি।