ধামরাইয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

ঢাকার ধামরাইয়ে দেড় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের ওডিসি ক্র্যাফট প্রাইভেট লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন।

ওডিসি ক্র্যাফট প্রাইভেট লিমিটেডের শ্রমিকেরা জানান, গত ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সময়ে শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানালে কর্তৃপক্ষ তাঁদের দ্রুতই বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। পরে আর বেতন পরিশোধ করেনি। বকেয়া বেতনের দাবিতে আজ সকাল আটটার দিকে কারখানার কয়েক শ শ্রমিক কারখানাসংলগ্ন ধামরাই-কালামপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে ধামরাই থানার পুলিশ ও শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। দুপুরের দিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বর মাসের বেতন আগামী মঙ্গলবার ও জানুয়ারি মাসের বেতন ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে পরিশোধ করার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে যান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক জানান, গত ২৫ জানুয়ারি কাজ শেষে কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেয়। শ্রমিকদের যেদিন বেতন দিতে পারবে, তার পরদিন থেকে কারখানা খোলা হবে বলে জানানো হয়। এরপর মাস (জানুয়ারি) শেষ হয়ে গেলেও বেতন অ্যাকাউন্টে না আসায় আজ সকাল আটটার দিকে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কারখানার সামনে যান। পরে তাঁরা বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

একজন শ্রমিক বলেন, ‘দেড় মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। ৬-৭ মাস ধরে টিফিন বিলের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। মালিক কারখানা চালাতে না পারলে আমাদের বেতন পরিশোধ করে আমাদের জানিয়ে দিলে অন্য কোথাও আমরা চাকরি নেব।’

কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেড় মাসের বেতন বকেয়া থাকায় শ্রমিকেরা তাঁদের পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন। শ্রমিকদের আগামী মঙ্গলবার ডিসেম্বর মাসের বকেয়া অর্ধেক বেতন এবং ফেব্রুয়ারির ২২ তারিখের মধ্যে জানুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানালে তাঁরা সড়ক ছেড়ে যান।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ প্রথম আলোকে বলেন, কিছু সময়ের জন্য শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর শ্রমিকেরা সেখান থেকে চলে যান।