কারাবন্দী বাবা-ভাইদের দেখতে যাওয়ার পথে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী

ঠাকুরগাঁও জেলার মানচিত্র

কারাগারে বন্দী বাবা ও ভাইদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এক কিশোরী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার একটি আখখেতের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিশোরীর বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়।

আজ শনিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি কিশোরী প্রথম আলোকে বলে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ৩১ আগস্ট তার বাবা ও দুই ভাইকে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয় সে। যাওয়ার পথে তাকে বহনকারী থ্রি–হুইলারটিতে তার তিন প্রতিবেশী ওঠেন। তাঁরা তাকে ছুরির ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে খেতের পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ওই পথ দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় গতকাল রাত সোয়া ১১টার দিকে দুই যুবক কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করলে পুলিশ গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে তাঁকে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

আজ সকালে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রকিবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ওই কিশোরীকে রাত ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ওই সময়ও তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। চিকিৎসা পর জ্ঞান ফিরলে সে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানায়। শারীরিক পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। এ ছাড়া তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল পেয়ে ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা হবে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।