নাটোরে অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়ায় কাঁচাগোল্লা তৈরি ও বিক্রির অপরাধে ঐতিহ্যবাহী জয়কালী বাড়ি মিষ্টির দোকান দ্বারিক ভান্ডারের মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোর কার্যালয় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের সময় একই অভিযোগে শহরের শিলা মিষ্টি বাড়িকে ৪০ হাজার টাকা, মৌচাক মিষ্টি ভান্ডারকে ১০ হাজার টাকা, নবরূপ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১০ হাজার টাকা, মডার্ন মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ৫ হাজার টাকা, ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা এবং জয়কালী মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নাটোরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানের প্রতি ভোক্তা সাধারণের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। অথচ দ্বারিক ভান্ডারের মালিক দীর্ঘদিন ধরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে কাঁচাগোল্লা উৎপাদন ও বিপণন করে আসছিলেন। দোকানের ভেতরে তেলাপোকা ও ইঁদুরের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। ভোক্তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় দোকানে অভিযান পরিচালনা করে দ্বারিক ভান্ডারের মালিক রবীন্দ্রনাথ কুন্ডুকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দ্বারিক ভান্ডারের মালিক রবীন্দ্রনাথ কুন্ডু বলেন, তাঁর দোকানটি শত বছর বয়সী একটি মিষ্টির দোকান। দোকানটির অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁরা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মিষ্টি তৈরি করে থাকেন। কোনো ভোক্তা তাঁদের কাছে কখনোই কোনো অভিযোগ করেননি। গুণগত মান ঠিক রেখে ঐতিহ্য ধরে রাখবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করার অপরাধে মিষ্টি উৎপাদনকারীদের জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযানে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরাও সঙ্গে ছিলেন। ভোক্তাদের স্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।