নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর–বড়াইগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুসের (ট্রাক) পাঁচ কর্মীকে পিটিয়ে পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার কচুগাড়ি ঈদগাহর পাশে এ হামলার জন্য নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর কর্মীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগী কর্মীরা।
আহত কর্মীরা হলেন—উপজেলার চামটা গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩২), আশরাফ আলী (৩৪), বর্ণী গ্রামের রুবেল হোসেন (৩০) এবং চামটা সরকারপাড়া গ্রামের শামীম হোসেন (৩৬) ও সুজন আলী (৩০)।
বড়াইগ্রাম থানা ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের কচুগাড়ি গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে গতকাল রাত ১০টার দিকে জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাঁচ কর্মী বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা ঈদগাহ এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা করে। প্রথমে তাঁদের পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুরে বাধা দিলে তাঁদের লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী প্রচার শেষে কচুগাড়ি থেকে ফিরছিলাম। হঠাৎ নৌকা প্রতীকের কর্মী গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা গ্রামের হাবিব মণ্ডল, জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল রানাসহ অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জন হামলা করে মারপিট করেন এবং আমাদের পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।’
তবে অভিযুক্ত সোহেল রানা বলেন, ‘আমি নগর ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে নৌকার প্রচারণার কাজে নিয়োজিত ছিলাম। যার ছবি ও ভিডিও আমার কাছে আছে। অভিযোগকারী ব্যক্তিরা নিজেরাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আযম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু রাসেল বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।