স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে মারধরের অভিযোগ

জয়পুরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান কর্মীরাছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-ক্ষেতলাল-কালাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে মারধর করা হয়েছে। ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ওরফে বুলুর নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তবে সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্ষেতলাল পৌর শহরের ইটাখোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোলাম মাহফুজ চৌধুরী জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইটাখোলা বাজারে নৌকা ও কাঁচি প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প সামনাসামনি। মঙ্গলবার বিকেলে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ইটাখোলা বাজারে গণসংযোগ করে তাঁর কাঁচি প্রতীকের ক্যাম্পে আসেন। তখন নৌকা ও কাঁচি প্রতীকের কর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গোলাম মাহফুজ চৌধুরী হাতাহাতি থামাতে গিয়ে নিচে পড়ে যান। তখন তাঁকে লাথি ও কিল-ঘুষি মারা হয়। কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ক্ষেতলাল পৌরসভার সাবেক মেয়র সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা করা হয়। শত শত মানুষের সামনে তাঁকে সড়কে ফেলে মারধর করা হয়। তাঁর মুজিব কোট ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পকেট থেকে পৌনে দুই লাখ টাকা লুট করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেখানো হচ্ছে। নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁরা ইটাখোলা বাজারে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে ছিলেন। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে থাকা ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদার নৌকার এক কর্মীকে কটূক্তি করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে তাঁরা লোকজন নিয়ে নৌকার কর্মীদের মারপিট করেন। এ ঘটনায় নৌকার দুজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, কটূক্তির জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।