দুই দিন ধরে বিশ্বনাথকে দেখেননি কেউ, ঘরে পাওয়া গেল ঝুলন্ত মরদেহ

দিনাজপুর জেলার মানচিত্র

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে বিশ্বনাথ টুডু (৭৫) নামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের কশিগাড়ি গ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 বিশ্বনাথ টুডু ওই গ্রামের মৃত রায়া টুডুর ছেলে। পেশায় তিনি কৃষিশ্রমিক ছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হওয়ার পর এক যুগ ধরে বিশ্বনাথ নিজ বাড়িতে একা থাকতেন। আর স্ত্রী-সন্তান থাকেন পাশের গ্রামে।

নিহতের প্রতিবেশীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বনাথ টুডু দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে একা থাকতেন। তিনি নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতেন না। গ্রামে রমেশ টুডু নামে তাঁর দূরসম্পর্কের এক নাতির সঙ্গে ওঠাবসা ছিল। রমেশের সঙ্গে গত বুধবারের পর আর দেখা হয়নি বিশ্বনাথের। আজ সকালে বিশ্বনাথকে দেখতে তাঁর বাড়িতে যান রমেশ। বিশ্বনাথের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান তিনি। এ সময় রমেশ ঘরে ঢুকে ঘরের আড়ার সঙ্গে রশিতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বিশ্বনাথের মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে তিনি বিশ্বনাথের মেয়েকে খবর দেন। নিহতের পরিবার থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিশ্বনাথের মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।