ঝিকরগাছায় চুরির অপবাদ দিয়ে স্কুলশিক্ষার্থীকে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

যশোর জেলার মানচিত্র

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সাদিপুর গ্রামে চুরির অপবাদ দিয়ে নবম শ্রেণিতে পড়া এক শিক্ষার্থীকে গামছা দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবারের ওই ঘটনার একটি ভিডিও আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, গলায় গামছা দিয়ে একটি ছেলেকে টেনেহিঁচড়ে কয়েকজন বরইবাগানে নিয়ে যান। সেখানে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁরা ছেলেটিকে উপর্যুপরি পেটাতে থাকেন। ছেলেটি আকুতি-মিনতি করলেও নির্যাতনকারীরা থামছেন না।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার সাদিপুর গ্রামের বিশ্বাস ব্রিকস নামে একটি ইটভাটার পাশে ১৬ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেদম পেটানো হয়। পিটুনি দিয়ে তাকে ইটভাটার ভেতরে বেঁধে রাখা হয়। পরে ছেলেটির বাবাকে ডেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ছেলেটির বাবা ও নির্যাতনকারীদের মধ্যে মীমাংসাও হয়েছে। এর মধ্যে ছেলেটিকে মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল দুপুরে আমার ছেলে স্থানীয় একটি দোকান থেকে বাড়িতে ফিরছিল। সাদিপুর গ্রামের বিশ্বাস ব্রিকসের সামনে পৌঁছালে ইটভাটার স্বত্বাধিকারী মো. আলম ও তাঁর ভাইয়ের ছেলে সেতু তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে বেদম মারধর করেন।’

অভিযোগের বিষয়ে মো. আলম প্রথম আলোকে বলেন, ইটভাটার কাঠ মাপার পাল্লার ২০ কেজির বাটখারা চুরি হয়। সেই বাটখারা ছেলেটির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ জন্য তাকে ধরে বাঁশের লাঠি দিয়ে পায়ে কয়েকটি বাড়ি দিয়েছেন। পরে ইটভাটায় বেঁধে রেখে তার বাবাকে খবর দিয়ে এনে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন। এতে কতটুকু অপরাধ হয়েছে, তিনি জানেন না।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত প্রথম আলোকে বলেন, ফেসবুকে বিষয়টি দেখে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।